স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) দীপক চৌধুরী বলেছেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সরকারের দায়িত্বশীল সব সেক্টরের জিরো ট্রলারেন্স ভুমিকার কারনে বর্তমানে আগের তুলনায় অবৈধ পন্থায় মানব পাচার বন্ধ হয়েছে। সরকার মানব পাচার বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এতে কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে ছাঁড় দেওয়া হচ্ছেনা। তিনি বলেন, দেশের মধ্যে কক্সবাজার জেলার ২৬টি পয়েন্টকে মানবপাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ইতোমধ্যে চিহিৃত করা হয়েছে। তবে মানব পাচার প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি প্রত্যন্ত জনপদে এব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। এই জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, আলেম, সাংবাদিক ও সুধীজনদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় ‘উপজেলা গভন্যান্স প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত মানবপাচার সংক্রান্ত সমস্যা ও করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত কর্মশালাটির উদ্বোধক ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ কক্সবাজার জেলার উপ-পরিচালক (উপ-পরিচালক) এএফএম আলাউদ্দিন খান। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো.রফিকুল হকের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান সাফিয়া বেগম শম্পা, চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মো.কামরুল আজম। বক্তব্য রাখেন চকরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ একেএম গিয়াস উদ্দিন, বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া, উপজেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট শাহ আলম, উপজেলা কেন্দ্রীয় সমিতির চেয়ারম্যান আলহাজ সেলিম উল্লাহ, উপজেলা এনজিও সমন্বয়কারী মোহাম্মদ নোমান, ইউপি সচিব আলহাজ ছুরত আলম, সার্ভ বাংলাদেশের আঞ্চলিক সমন্বয়ক কাজী মাকছুদুল আলম মুহিদ, উপজেলা ক্রেল প্রকল্পের সাইট কর্মকর্তা মো.আবদুল কাইয়ুম, এনজিও ইপসার কর্মকর্তা বেলাল উদ্দিন, শিক্ষক তছলিম উদ্দিন, কর্মনীড়ের নির্বাহী পরিচালক শাহানা বেগম ও মৎস্যজীবি নেত্রী আনারকলি জলদাশ।
কর্মশালায় উন্মুর্থ মতামতকালে উপজেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট শাহ আলম বলেন, সরকার মানবপাচার বন্ধে সতেষ্ট হলেও মামলার দীর্ঘ সুত্রিতার কারনে আইনী ফাঁক-ফোকরে অপরাধীরা সহজে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই পাচার রোধ করতে হলে জড়িত অপরাধীদেরকে তাৎক্ষনিক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। জবাবে প্রধান অতিথি বলেন, সরকারও পাচারকারীদেরকে আইনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। কাজের অগ্রগতি হিসেবে বলা যায় আগের চেয়ে এখন মানব পাচার বন্ধ হয়েছে। তিনি বলেন, জড়িতদের তাৎক্ষনিক শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলেই মানব পাচার অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি সর্ম্পকে সরকারের উচ্চ মহলে দৃষ্টি আকর্ষন করা হবে যাতে পাচারকারীদেরকে তাৎক্ষনিকভাবে শাস্তি দেওয়া যায়।
অনুষ্টিত কর্মশালায় উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার, উপজেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সদস্য, আইনজীবি, সাংবাদিক, শিক্ষক, আলেম, এনজিও প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী ও সুশীল সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহন করেন। #
পাঠকের মতামত: